আবার ডাউনট্রেন্ডে EUR/USD, নেমে এসেছে ১.১০ এর নিচে (যদিও এখন আবার ১.১০ তে ট্রেড হচ্ছে)। সামনের দিনগুলোতে কি হবে? EUR/USD কি আরো দুর্বল হবে? নাকি আবার শক্তিশালী হবে? এই প্রশ্নেরই উত্তর খুজছেন সবাই। তবে মার্কেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তা নির্ধারণ করে দিবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোই।
যেকারণে EUR/USD আরো দুর্বল হওয়ারই সম্ভাবনা বেশি
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তের উপরেই কারেন্সির মূল্যমান অনেক বেশি নির্ভর করে এবং বর্তমানে সম্পূর্ণ বিপরীত পথে হাটছে ইউরোপিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) এবং ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অফ আমেরিকা (ফেড)। ফেড ডিসেম্বরে সুদের হার বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে এবং অর্থনৈতিক নীতিগুলোকে আরো কঠোর করার ঘোষণা দিয়েছে, যা শক্তিশালী করবে ডলারকে, অর্থাৎ, দুর্বল করবে EUR/USD কে।
আবার, ইসিবি চাচ্ছে অর্থনৈতিক নীতিগুলোকে আরো শিথিল করতে। বাজারে ইউরোর সরবরাহ বাড়াতে, যাতে অর্থনৈতিক কার্যক্রম আরো গতিশীল হয়। ইসিবি চাচ্ছে ব্যাংক ডিপোজিটের উপর ঋণাত্মক সুদের হার আরো বাড়াতে। যাতে মানুষ ব্যাংকে ইউরো জমা রাখার পরিবর্তে বিনিয়োগে বেশি উত্সাহিত হয়। এর ফলে সরবরাহ বাড়ায় ইউরো আরো দুর্বল হবে, মানে তা আরো দুর্বল করবে EUR/USD কে। যদি ফেড ডিসেম্বরেই সুদের হার বাড়ায় আর ইসিবি ব্যাংক ডিপোজিটের উপর ঋণাত্মক সুদের হার বাড়ায়, তাহলে EUR/USD এ বছরের সর্বনিম্ন প্রাইস ১.০৪৬২ (মার্চ মাসের সাপোর্ট) এ নেমে আসতে পারে, এমনকি তা ব্রেক করে আরো নিচে নেমে আসতে পারে।
অর্থাৎ, দুটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তই EUR/USD র প্রতিকূলে। তাই, এমতাবস্তায় EUR/USD র আরো কমার সম্ভাবনাই বেশি।
তাহলে কখন বাড়তে পারে EUR/USD?
তারও উত্তর দিয়েছেন মার্কেট বিশ্লেষকরা। যদি ফেড আবারও আগের মোট সুদের হার বাড়াতে দেরী করে এবং ডিসেম্বরে সুদের হার না বাড়ায় এবং অপরদিকে ইসিবি কাজের থেকে কথাতেই বেশি বিশ্বাসী হয় (অর্থাৎ, ঋণাত্মক সুদের হার না বাড়ায়), তাহলে এই দুই ক্ষেত্রেই ইউরো শক্তিশালী হবে এবং EUR/USD আবার ১.১৬ এ ফিরে যেতে পারে।
তাই, আগামী দিনগুলোতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো কি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বা তাদের প্রধান কর্মকর্তারা কি বলছেন, তার দিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতেই হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন